নিজের ছেলে মেয়ে গুলো কে বাস্তব বোধের পরিচয় না দিয়ে , নিজেদের গৌরবময় অতীত সম্পর্কে পড়াশুনা না করিয়ে দাও না চাকর তৈরি করার কারখানা তে ঢুকিয়ে যেখানে যত্ন সহকারে চাকর তৈরি করার চেষ্টা করা হয়। আর যন্ত্র মানব তৈরি করা ছেড়ে দিয়ে নিজেরা যন্ত্র হওয়ার থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করো। নাহলে কদিন পরে দেখবে যন্ত্র মানব ও মুচকি হেসে বলবে ওই দেখ - আমাদের মতো না ! ছোটো বাচ্চা হোচট খেয়ে পড়ে গেলে , তাকে যদি মাটিতে লাথি মেরে রাগ পুষিয়ে নিতে বলো, তাহলে একদিন নিজে ভুল করেও সে তোমার থেকে কোনো কারণে আঘাত পেলে একই কাজ করবে না , তা কে বলতে পারে?
আগে নিজেরা মানবিক হও। তারপর তো অন্য দের কে মানবিকতার শিক্ষা দেবে তাই না। তোমার ছেলের সামনে যদি তুমি তোমার বাবা মা কে খেতে না দাও , বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসো , ভালো না বসো তাহলে তুমি কি করে আশা করো তোমার ছেলে তোমাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে না। আসল ধর্ম তো এখানে , ধর্ম কথার প্রাসঙ্গিকতা তো এখানে যেখানে মানবতা বিরাজ করে । ফণীমনসার গাছ লাগিয়ে আম খাওয়ার কথা ভাবলে কেমন করে হবে।
আমাদের পোড়া দেশে বুদ্ধির কোনো বালাই নাই। যে জন খাটে তার দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা আর বিদ্যালয় এর পার্টটাইম শিক্ষক এর মজুরি মাসে ১৫০০ টাকা , অদ্ভুত।
নামেই জাতিভেদ নেই , সমানতন্ত্র , গণতন্ত্র কিন্তু আবার মাঝে মধ্যে তাদের কে এই প্রায় অর্ধেক স্বাধীন দেশে দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হয়, কি জ্বালা।
মন্দির আর মসজিদ নাকি ধর্মশালা । কোনো দিন তো দেখলাম না ধর্মের পাঠ দিতে , গুটি কয়েক ছাড়া বাকি সবাই তো খালি কামান দাগায় আদৌ কি কোনো দিন ভালো কাজ করেছে। আজকে দিনে দাড়িয়ে ভারত এর যে সমস্ত বড়ো বড়ো প্রত্যেক টা মন্দির মসজিদ এর নামে ধর্মশালার নামে যা সম্পত্তি আছে তার হিসাব কেউ কোনো দিন জানে , না কেউ জানতে দেয়। একবার ভাবো যদি বেলুড় মঠ এর মতো একটা প্রতিষ্ঠান একা দাড়িয়ে এতো মানুষের শিক্ষা , প্রযুক্তি , স্বাস্থ্যর ভার নিতে পারে তাহলে , অন্য যে সমস্ত বড়ো মন্দির মসজিদ , ধর্মশালা গুলো কেনো তাদের কে মানব কল্যাণ এ ব্যাপৃত করবে না । আজকে মানুষ এর কাছ থেকে ভগবানের দোহাই দিয়ে গাদা গাদা টাকা নিয়ে , নিজেরা ফুলে ফেঁপে উঠে , দেশ বিদেশ এ গাড়ি বাড়ি করছে আর মূর্খ জনগন নিজের এই দুর্দশার কথা ভুলে গিয়ে স্বর্গে গিয়ে কিভাবে ভালো থাকবে তার চিন্তায় ব্যতি ব্যাস্ত হয়ে মরছে। আর কালো টাকা বাঁচাতে ধর্মশালার আশ্রয় নিচ্ছে । হায় রে মানব জাতি ,,,,,,, এই ধর্ম নামক রাক্ষস টাই একদিন তোদের সব ধর্ম গিলে খাবে।
1 comment:
চোখটা খুলেছে দেখে ভালো লাগছে। তবে ধর্ম শব্দ একাধারে একাধিক অর্থ বহন করে। আবার অনেক আধারে এক অর্থ ও বহন করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ যোগ্য ধাতু মূল অনুসারে এর ব্যাখ্যা। তবে তোর ভাবনায় নিরন্তর প্রবধের ও প্রতিভার বাস ঘটুক। 😀
Post a Comment