বর্তমান পরিস্থিতি তে বিজ্ঞান মনস্ক হওয়া উচিত ।সচেতন নাগরিক ও সুস্থ মানুষ হিসাবে বেঁচে থাকা উচিত , কোনো ধর্মান্ধ অসুস্থ মস্তিস্ক নিয়ে বেঁচে থাকা যায় , মানুষ হওয়া যায়না ।
সর্ব ধর্ম সমন্বয় পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে । যত দিন না সবাই এক হয়ে লড়বে ততো দিন মহান কর্মকাণ্ডে বিফলতা নেমে আসবে গভীর অভিশাপ রূপে । তার উৎকৃষ্ট প্রমানের জন্য একটু ইতিহাস জানা দরকার , যদিও ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস কারোর অজানা নয়। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জৈন, ইত্যাদি বহু ধর্মীয় মানুষ সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের মহা যজ্ঞে যদি ঝাঁপিয়ে না পড়তো তাহলে হয়তো আজকের দিনেও আমরা বিদেশী বরাহদের শৌচালয় পরিষ্কার করতাম ।
আর আমার মনে হয় ভগবান ও হয়তো চেয়েছিলেন ভারতীয়রা পরাধীনতার কটু স্বাদ আস্বাদন করুক ! যদিও তার আগেও এরা পরোক্ষ ভাবে পরাধীন ই. ছিল ! পরাধীনতা নামক শিকলের দাগ যে কোনো ধর্ম দেখে গায়ে আঁকা থাকেনা তা ভারতীয়দের বোঝার দরকার ছিল । ভারতীয়রা যখন জাত- পাত - বর্ণ- ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত ছিল ঠিক তখনই একদল সুবিধাভোগী ষড়যন্ত্রকারী উচ্চবিত্ত সম্পন্ন মানুষ নিজেদের পুঁজি গুছিয়ে নিচ্ছিল গরিব অবুঝ সাধারণ মানুষের রক্ত শুষে । সঙ্গ দিয়েছিলো সেই সাদা মুখো বাঁদরদের , ঠিক যেমন এখন কিছু ধর্মীয় গোঁড়ারা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ধর্মের অদৃশ্য কালপাশে বেঁধে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিচ্ছে , আর সেই ফাঁকে সাধারণ মানুষের সর্বস্ব লুট করে তুলে দিচ্ছে সেই নাম জানা পুঁজিবাদীদের হাতে । এদের গায়ের রং একরকম না হলেও উদ্দেশ্য কিন্তু একই । তাই আমাদের সবার সচেতন হওয়া খুব প্রয়োজন , না হলে আমাদের উত্তরসূরিদের জন্য চরম বিপদের বিষাক্ত কুয়ো আমরা নিজেরাই খনন করে রাখছি নিজেদের অজানতেই।
19 জানুয়ারী ব্রিসবেনের অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারতের টেস্ট ম্যাচ টা আমাদের আবার মনে করিয়ে দেয় যে মহম্মদ ও ঠাকুরের( MD Siraj & Shardul Thakur) যৌথ লড়াইটাই ভারতের জয়টাকে নিশ্চিৎ করেছিল । তাই আমরা যদি ধর্মীয় গোঁড়ামী নামক বিষ বৃক্ষটাকে ধীরে ধীরে উৎপাটন করবার চেষ্টা করি তাহলে হয়তো একদিন আমরা অবশ্যই সফল হবো তার আশা রাখতে পারি ।
কৌশিক হালদার ।
3 comments:
এই ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের যুব সমাজের যতটা দায়িত্বশীল হওয়াদরকার । তেমনই যেন রাজনৈতিকসমাজ একই দায়িত্ব পালনকরেন।অনেক ধন্যবাদ কৌশিকমহাশয় কে যুব সম্প্রদায়ের সম্প্ৰীতি নিয়ে তুলে ধরারজন্য।
Valo likhechis
Chaliye jao
সবাই কে অনেক ধন্যবাদ ঐকান্তিক ভাবে পাশে থাকার জন্য ।
Post a Comment